গ্রেফতার দুজনের স্বীকারোক্তি
শিশু আরফাতকে হত্যার পর মুক্তিপণ দাবি করা হয়
পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
|
শিশু মো. আরফাতকে হাত-পা বেঁধে হত্যার পর ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। রোববার চকরিয়া জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা স্বীকার করেন হত্যাকারী মগনামা মিয়াজীপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. মানিক ও একই ইউপির দরদরীঘোনা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে রায়হান। গত বৃহস্পতিবার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ওমান প্রবাসী রুহুল কাদেরের শিশুসন্তানকে অপহরণ করা হয়। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার লাশটি উদ্ধার করে পেকুয়া থানা পুলিশ। পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম জবানবন্দির বরাতে জানান, শিশু আরফাতকে দুপুরে কাদিমাকাটা এলাকার নিজবাড়ি থেকে নাস্তা করার কথা বলে ডেকে নেন খালাত ভাই মো. রায়হান। এ সময় তার সঙ্গে ছিল মো. মানিক। তারা বাড়ি থেকে রাস্তা পার হয়ে একটি অটোরিকশা করে পেকুয়া চৌমহুনীতে আসে। ওই সময় শিশুটি কোথায় যাচ্ছে জানতে চাইলে বলেন, তারা খালাত ভাই রায়হানের বাড়িতে যাচ্ছে। মগনামার ফুলতালায় যাওয়ার পর গাড়ি বদল করে ইজিবাইক নিয়ে মগনামার কাজি মার্কেটে গিয়ে আবারও শিশুকে নাস্তা করিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করে। আবছা অন্ধকার হলে মগনামা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন রাস্তা পার হয়ে মগঘোনার রাস্তা হয়ে যাওয়ার সময় শিশু আরফাত বেশ জোরে করে কান্না করতে থাকেন। বকা দিয়েও কান্না বন্ধ না হলে নির্জন ধানের জমিতে গিয়ে শিশুটির হাত-পা বেঁধে ফেলা হয়। তখন মো. মানিক হাত-পা চেপে ধরে আর রায়হান গলা টিপে আরাফাতের মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর শিশু আরফাত ও হত্যাকারী রায়হানের খালা কাউসার বেগমকে মোবাইল ফোনে কল করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। |