রোহিতের ডাবল সেঞ্চুরি
সময়ের আলো ডেস্ক
|
![]() রোহিতের ডাবল সেঞ্চুরি ব্যক্তিগত ১৯৯ থেকে ডাবল সেঞ্চুরি করতে প্রায় ৫০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে রোহিতকে। এটি অবশ্য হয়েছে লাঞ্চ ব্রেকের কারণে। রোহিত যখন অপরাজিত ১৯৯ রানে তখনই ৪০ মিনিটের লাঞ্চ ব্রেকের ঘোষণা দেন আম্পায়ার। পরে দ্বিতীয় সেশনে নেমে প্রথম ওভার পুরোটাই মেইডেন খেলেন রোহিত। ফলে অপেক্ষা যায় বেড়ে। তবে অপেক্ষাটা বেশি দীর্ঘায়িত করেননি এ মারকুটে ওপেনার। নিজের মুখোমুখি পরের ওভারের প্রথম বলেই লুঙ্গি এনগিডির করা শর্ট পিচ ডেলিভারিটিকে নিজেদের ড্রেসিংরুমের সামনে আছড়ে ফেলেন রোহিত। ফলে সেঞ্চুরির মতোই ডাবল সেঞ্চুরিটিও ছক্কা মেরেই পূরণ হয় তার। ভারতের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ছক্কা মেরে ডাবল সেঞ্চুরি করেন রোহিত। টেস্ট ক্যারিয়ারের এরই মধ্যে ৫টি সেঞ্চুরি থাকলেও, ডাবল সেঞ্চুরি আজকেরটিই প্রথম। এরই মাধ্যমে বিশ্বের মাত্র চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডে ও টেস্ট- উভয় ফরম্যাটে ডাবল সেঞ্চুরির মালিক হলেন তিনি। চারজনের এ তালিকাটি হলো শচিন টেন্ডুলকার, ভিরেন্দর শেবাগ, ক্রিস গেইল ও রোহিত শর্মা। এদিকে রোহিতের এ ডাবল সেঞ্চুরির মাধ্যমে চলতি সিরিজে ভারতের ব্যাটসম্যানদের ডাবল সেঞ্চুরির সংখ্যা দাঁড়ালো তিনে। এবারই প্রথম এক সিরিজে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেলো ভারত। প্রথম ম্যাচে মায়াঙ্ক আগারওয়াল (২১৫), দ্বিতীয় ম্যাচে বিরাট কোহলি (২৫৪*) এবং তৃতীয় ম্যাচে এসে দুইশ রান করলেন রোহিত। ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করা ছক্কাটি আবার রোহিতের টেস্ট ক্যারিয়ারের ৫০তম ছক্কা। সেই ছক্কার এক বল পরই আরেকটি ছক্কা হাঁকান রোহিত। ফলে চলতি সিরিজে তার ছক্কার সংখ্যা দাঁড়ায় ১৯-এ। যা এরই মধ্যে এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড। তবে দ্বিশতকে পৌঁছে বেশি দূর যেতে পারেননি রোহিত। আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ২১২ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করা এ ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ২৮ চার ও ৬ ছক্কার মারে। আউট হওয়ার পর চলতি সিরিজে রোহিতের মোট রান দাঁড়িয়েছে ৫২৯। ভারতের পঞ্চম ওপেনার হিসেবে এক সিরিজে পাঁচ শতাধিক রানের রেকর্ড গড়েছেন তিনি। রোহিতের আগে সুনিল গাভাস্কার (৫ সিরিজে), ভিরেন্দর শেবাগ, ভিনু মানকড় এবং বুধি কুন্দেরান দেখিয়েছিলেন এ কীর্তি। |