২০২১ সালের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রস্তুত করা হবে অর্থনৈতিক অঞ্চল। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি (বেজা) প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ভূমিতে মাটি ভরাটের কাজ এ বছরের শেষ দিকে অথবা আগামী বছরের প্রথমদিকে শুরু হবে। মাটি ভরাট সম্পন্ন হতে ১৫ মাস সময় লাগবে। জাপান আন্তর্জাতিক কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) বাংলাদেশ কার্যালয়ের প্রতিনিধি ওতারু ওসোয়া সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, মাটি ভরাটের কাজ ২০২১ সালের প্রথম দিকে শেষ হয়ে যাবে এবং এরপর বেজা আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের মাঝে প্লট বিক্রি করা শুরু করবে। ওতারু ওসোয়া বলেন, জাপানের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্যিক কোম্পানি সুমিটোমো করপোরেশন অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বেজার সঙ্গে অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি স্পেশাল পারপাস কোম্পানি (এসপিসি) প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বেজার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ চুক্তি সম্পাদন করেছে।
তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের জন্য সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের মাধ্যমে আগামী এক মাসের মধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রস্তুত করার লক্ষ্যে কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠার করা হবে। তিনি জানান, জাইকা অর্থনৈতিক অঞ্চলের অধীনে ‘ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন (এফডিআই)’ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। প্রকল্পের আওতায় জাপানি এবং অন্যান্য এফডিআই কোম্পানিগুলোকে স্বল্প, মাঝারি ও দীর্ঘ মেয়াদে মূলধন বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগ উন্নয়নে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। প্রকল্পের আওতায় জাপান অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারী, জাপানিজ এবং বাংলাদেশি বা অন্যান্য বিদেশি যৌথ উদ্যোগ এবং বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা একশ কোটি ডলারের অধিক চুক্তি হবে বলে আশা করছে । অর্থনৈতিক অঞ্চলে সড়ক, বিদ্যুৎ প্লান্ট ও সাব-স্টেশনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে জাইকা অর্থায়ন করবে বলে তিনি জানান। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়নে এক থেকে দেড় বছর বছর সময় নেবে এবং ২০২২ সালের মধ্যে সব রকম উন্নয়ন কাজ শেষ হবে। তিনি আশা করে বলেন, এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে সব রকম সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে উচ্চ পর্যায়ের শিল্প কারখানা স্থাপন করা হবে। এর আগে বেজার এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রায় ১ হাজার একর জায়গায় গড়ে তোলা হবে।