টানা দ্বিতীয়বারের মতো কানাডার ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টি। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ‘মাইনরিটি গভর্নমেন্ট’ হিসেবে ট্রুডো ক্ষমতায় আসছেন বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় সংবাদমাধ্যম সিবিসি।
কানাডার পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি প্রদেশে শুরুতে হেরে গেলেও পার্লামেন্টে ট্রুডোর দল অধিকাংশ আসন ধরে রেখেছে।
এই নির্বাচনে কোন দল কত আসন পেয়েছে তা এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো গণমাধ্যম নিশ্চিত করতে পারেনি। সিবিসি বলছে, এখনো বেশ কিছু ভোট গণনা বাকি আছে।
তবে প্রাথমিক ফলাফলে দেখে গেছে, ৩৩৮টি আসনের মধ্যে ট্রুডোর দল পেয়েছে ১৫৬টি, কনজারভেটিভ ১২১টি। সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার নিশ্চিত করতে ট্রুডোর দরকার ছিল ১৭০টি আসন।
কানাডার নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী, কোনো নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া দল অর্ধেকের বেশি আসনে জিততে না পারলে তাকে ‘সংখ্যালঘু সরকার’ বলা হবে। অর্ধেকের বেশি আসন পেলে হাউজ অব কমন্সের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে থাকে।
সংখ্যালঘু সরকারের অসুবিধা হল কোনো বিল পাস করতে গেলে আসন অনুযায়ী বিরোধী দলের সমর্থন লাগে। বিরোধীরা চাইলেই কোনো বিল আটকে দিতে পারেন। বাজেটের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিরোধীরা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পারে।
এভাবে বিতর্কিত ইস্যুতে কোনো প্রস্তাবে সরকার হেরে গেলে পার্লামেন্ট ভেঙে নতুন নির্বাচন দিতে হয়।
এই ফেডারেল ইলেকশন ৪৭ বছর বয়সী ট্রুডোর জন্য ‘গণভোট’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিল। বহুল আলোচিত এই সরকার প্রধান সম্প্রতি কয়েকটি বিষয় নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন।
‘সত্যিকারের পরিবর্তনে’র অঙ্গীকার নিয়ে ২০১৫ সালে ক্ষমতায় আসেন সুদর্শন ট্রুডো। কিন্তু চার বছর বাদে তার সেই অঙ্গীকার প্রশ্নের মুখে পড়েছে।