ই-পেপার মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০১৯ ৬ কার্তিক ১৪২৬
ই-পেপার মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০১৯

মধুখালীতে প্রভাবশালীদের নদী দখলবাণিজ্য
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯, ২:৪৬ পিএম আপডেট: ২১.১০.২০১৯ ৪:৩০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

মধুখালীতে প্রভাবশালীদের নদী দখলবাণিজ্য

মধুখালীতে প্রভাবশালীদের নদী দখলবাণিজ্য

ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়নস্থ চন্দনা নদীর শাখার অনেকাংশ দখল করে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। এই নদী দখলের কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের পানি নিষ্কাশন, কৃষি ক্ষেত্রে সেচ ব্যবস্থায় বাধাগ্রস্তসহ নানা সমস্যা তৈরী করেছে।

নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে দেখা যায়, মধুখালী উপজেলাধীন কামারখালী নামক স্থানে প্রবাহিত গড়াই নদী থেকে সৃষ্ট শাখা নদী চন্দনা বয়ে গেছে আড় পাড়া, উজানদিয়া, বাগ বাড়ি, কাটাখালী, চর বাঁশপুর ও বাগাট বাজারের পাশ দিয়ে। রাজবাড়ী জেলার কালুখালী থেকে মূল পদ্মা নদী থেকে প্রবাহিত হয়ে গড়াই হয়ে তৈরী হয় চন্দনা নদী।

এই নদীর ধারা কামারখালী ও আড়কান্দি অংশে নাব্যতা হারিয়ে কয়েকটি স্থানে জলাশয় সৃষ্টি করেছে। এলাকার স্বার্থান্বেশী প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি উজানদিয়া, বাগবাড়ি, কাটাখালী, চর বাঁশপুর ও বাগাট এলাকার বিভিন্ন অংশে দখলদাররা ক্ষমতার বলয়ে দখল করে নিয়েছে।

নামে বে নামে ইজারা নিয়েও বিভিন্ন স্থানে পুকুর খনন, বাধ নির্মাণ, পাকা ঘরবাড়ি, বাণিজ্য কেন্দ্র নির্মাণসহ নানা ভাবে নদীর অংশ দখল করেছে। এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদ্বয় ইতিপূর্বে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে বিষয়টি অভিযোগ করে অবগতকরেছে। কিন্তু একাধিকবার প্রশাসনকে বলেও এই বিষয়ে কোন সুফল পাওয়া যায়নি বলে জানান ভূক্তভোগি এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী আরও জানান চন্দনা নদীর আপন প্রাকৃতিক ধারা অব্যাহক থাকলে দৈনন্দিন পানির প্রয়োজন ও কৃষি সেচ ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয়  ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এই নদী দখল মুক্ত করে খননের মাধ্যমে স্বাভাবিক ধারা ফিরিয়ে আনতে পারলে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মানুষ উপকার পেত।

মধুখালী উপজেলার বাগাট মৌজার ১নং সীট এর এস. এ (জলা)-১৮৪৩ নং দাগের প্রায় ২৫ একর জমি বিভিন্ন দখলে রয়েছে। এলাকার মতিয়ার রহমান খান, বাকা খান, মো. লাল খান, মো. কুদ্দুস খান, সাম খানসহ বিভিন্ন ব্যক্তিরা কৌশলে এই জমি দখল করে রয়েছে। এ বিষয়ে নব গঠিত কোরকদি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুকুল হোসেন রিক্ত জানান আমার ইউনিয়নের ৬-৭টি গ্রাম এই নদীর তীরে অবস্থিত তারা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতির সম্মক্ষিণ পাট পচানোসহ কৃষি সেচ ও দৈনন্দিন পানি সমস্যার ভোগান্তিতে রয়েছে। নদীর মধ্যে এলাকার মশিউর হোসেন বাকা ও লাল খান সহ কয়েক ব্যক্তি ৫ তলা ফাউন্ডেশন করে ভবন করছে।

আমি নিষেধ করেছি শোনেনি এর পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছি তাতে ফল হয়নি এখন এলাকাবাসীকে আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে লিখিত ভাবে জানাব প্রয়োজন হলে এলাকার মানুষকে নিয়ে তাদের প্রয়োজনে সোচ্চার আন্দোলনে যাবো। এ বিষয়ে জমি দখল কারীদের বক্তব্য জানতে চাইলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।



এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড-এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ।
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫। ই-মেইল : [email protected]