তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণ ফোনের মুনাফা কমল ১৪ শতাংশ। তবে ২০১৯ সালের প্রথম ৯ মাসে গ্রামীণফোন মোট ১০ হাজার ৭৫০ কেটি টাকা আয় করেছে যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯.৫ শতাংশ বেশি। অপারেটরটির গ্রাহক সংখ্যা ৬ শতাংশ বেড়ে বছরের প্রথম ৯ মাসে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৫৭ লাখ। এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটি ৪ লাখ নতুন গ্রাহক নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করেছে যা ২০১৮ সালের শেষ প্রান্তিকের থেকে ৬ শতাংশ বেশি। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ইন্টারনেট গ্রাহক বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ লাখ। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ৫৩.৭ শতাংশ গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছে। সোমবার রাজধানীর বসুন্ধরার জিপি হাউসে গ্রামীণফোনের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি বলেন, প্রতিকূল নিয়ন্ত্রকমূলক পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও আমরা তৃতীয় প্রান্তিকে শক্তিশালী ব্যবসায়িক ফলাফল অর্জন করেছি। নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন বা এনওসি প্রদান বন্ধের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও গ্রামীণফোন দেশের ৯৯.৫ শতাংশ গ্রাহককে তার নেটওয়ার্কে আওতায় মোবাইল সেবা প্রদান করছে। ৬৯ শতাংশ জনগোষ্ঠী আমাদের ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় রয়েছে। ভয়েস সেবা থেকে আমাদের প্রাপ্ত আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর পাশাপাশি ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার সহ ইন্টারনেট ভিত্তিক আয় বৃদ্ধিও পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমাদের গ্রাহক সংখ্যার ৫৩.৭ শতাংশ বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।
তিনি আরও বলেন, আমাদের শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থরক্ষা, গ্রাহকদের সর্বোচ্চ মানের সেবা প্রদান এবং দেশ জুড়ে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য এবং এটি ধরে রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। ১৯.৯ শতাংশ মার্জিনসহ তৃতীয় প্রান্তিকে কর পরবর্তী নিট মুনাফা ছিল ৭৩০ কোটি টাকা। এই সময়কালের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৫.৩৮ টাকা।
গ্রামীণফোনের সিএফও ইয়েন্স বেকার বলেন, ২০১৯ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন উল্লেখযোগ্য মার্জিনসহ উল্লেখযোগ্য ব্যবসায়িক ফলাফল অর্জন করেছে। বাংলাদেশের জনগণের জন্য যথাযথ মোবাইল সেবা নিশ্চিত করতে আমরা মানসম্মত গ্রাহক বৃদ্ধির পাশাপাশি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক এবং পরিচালন ব্যবস্থা তৈরি করতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখব।
তিনি জানান, তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক কভারেজের জন্য ২১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এনওসি প্রদান বন্ধের কারণে পরিকল্পনার তুলনায় এ বিনিয়োগের পরিমাণ কমেছে। নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের জন্য প্রতিষ্ঠানটি ১ হাজার ৮১২টি নতুন ফোরজি সাইট চালু করেছে যার ফলে মোট সাইটের সংখ্যা এখন ১৬ হাজার ৩৮৯টি। কর, ভ্যাট, ফিস, ফোরজি লাইসেন্স এবং তরঙ্গ বরাদ্দের ফিস বাবদ গ্রামীণফোন বছরের প্রথম ৯ মাসে সর্বমোট ৬ হাজার ১৪০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে যা প্রতিষ্ঠানটির মোট আয়ের ৫৭ শতাংশ।