পুলিশ কোথা থেকে সাহস পায় আমার গায়ে হাত দেয়ার?
বিচার চাই, নয়তো আমাকে মেরে ফেলুন!
সময়ের আলো ডেস্ক
|
নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজকে পিটিয়েছে পুলিশ। ফাহাদের কবর জিয়ারত শেষে বুয়েট উপাচর্য সাইফুল ইসলাম ফাহাদের বাড়িতে প্রবেশ করতে গেলে বাধা দেয় গ্রামবাসী। এসময় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে ভিসি ফাহাদের বাড়ি যেত পারেননি।
এরপর আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ও ভাই আবরার ফায়াজসহ সবাই মিলে কবর জিয়ারত করেন। কবর জিয়ারত শেষে পরিবারকে সমবেদনা জানাতে আবরারের বাড়িতে যাওয়ার সময় উপাচার্যকে নানা প্রশ্ন করে গ্রামবাসী। একই সঙ্গে উপাচার্যবিরোধী স্লোগান দেয় তারা। এ সময় উপাচার্যকে ঘিরে রেখে আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে স্লোগান দেয় উত্তেজিত জনতা। এ অবস্থায় আবরারের ভাই ও বাবার প্রশ্নবানে জর্জরিত হন উপাচার্য। তাদের জিজ্ঞাসা ছিল, উপাচার্য কেন ওই হত্যাকাণ্ডের পরপর সেখানে উপস্থিত হননি। এখন কেন এসেছেন? মৃত্যুর আগে আসেননি, পরেও আসেননি। এমনকি লাশ দেখতেও আসেননি। এখন কিসের কবর দেখতে এসেছেন, কিসের সান্ত্বনা দিতে এসেছেন, কার কবর দেখতে এসেছেন যান চলে যান। অবস্থা বেগতিক দেখে বুয়েট উপাচার্য সাইফুল ইসলাম পিছু হটতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের গাড়িতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তিনি। উপাচার্য চলে যাওয়ার পর উত্তেজিত জনতাকে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত ফাহাদের ভাই ফায়াজকে পেটানোর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পুলিশ কেন মারবে ফায়াজকে। এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ অভিযোগ ভিত্তিহীন। সেখানে মিডিয়ার লোকজন ছিল। তাদের ক্যামেরার ভিডিও গুলো দেখেন। তাহলেই বোঝা যাবে মেরেছে কী মারেনি। |