বিশ্ব দৃষ্টি দিবস-২০১৯ পালিত
দেশে অন্ধত্বের হার অনেক কমে গেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
স্বাস্থ্যসেবার দিক পথকে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে অনেকখানি এগিয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিশ্ব দৃষ্টি দিবস-২০১৯ উপলক্ষে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আশেপাশের দেশ থেকে সকল সূচকে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। ঠিক একইভাবে স্বাস্থ্যসেবার দিক থেকেও বাংলাদেশ অনেকখানি এগিয়ে আছে।’ লাইন ডাইরেক্টর ন্যাশনাল আই কেয়ার এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবায় আমরা অনেক অর্জন করেছি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যাকসিন হিরো পুরস্কার পেয়েছেন। মাঠ পর্যায়ের ডাক্তার-নার্সদের পরিশ্রমের জন্যই এই সফলতা।’ চোখের চিকিৎসা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে দারিদ্র্য যেমন কমে গেছে অন্ধত্বের হারও অনেক কমে যাচ্ছে। প্রান্তিক এলাকাতেও এখন চোখের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গ্রামের লোকজনও অন্ধত্ব থেকে রক্ষা পাচ্ছে। বাংলাদেশের সাড়ে ৭ লাখ লোক অন্ধ হয়ে আছে। এর মধ্যে আড়াই লাখ লোককে অপারেশন করা সম্ভব।’ সভায় অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমাদের ডাক্তারের স্বল্পতা রয়েছে। তাই ডাক্তারের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি বলেন, দেশে প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের মাধ্যমে সমন্বিত উন্নত চক্ষু চিকিৎসা কার্যক্রম ন্যাশনাল আইন কেয়ারের মাধ্যমে চলমান আছে। প্রত্যেকটি উপজেলায় কমিউনিটি ভিশন সেন্টার চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের অন্ধত্ব দূর হবে। তিনি জানানÑ প্রতিটি জেলা হাসপাতালে চক্ষু বিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সব ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘ভালোমানের চিকিৎসা দিয়ে চক্ষু চিকিৎসাকে আমরা ভালো পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। এখন আমাদের গোল হলো চক্ষু চিকিৎসাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া।’ এর আগে সোমবার দুপুরে বিশ্ব দৃষ্টি দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতাল প্রাঙ্গণে একটি বর্ণাঢ্য র্যালিতে অংশ নেন। এরপর চক্ষু দিবসের আলোচনা শেষে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নতুন একটি লেজার মেশিনের উদ্বোধন করেন। |