আজ দেশে আসবে পুরনো এলসির পেঁয়াজ
সময়ের আলো ডেস্ক
|
শুক্রবার পুরনো এলসির পেঁয়াজ দেশে
প্রবেশ করতে পারে বলে জানিয়েছেন হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা। পুরনো এলসির বিপরীতে পেঁয়াজ রপ্তানির বিষয় নিয়ে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকের ভিত্তিতে শুক্রবার যে কোনো সময় এই অনুমতি মিলতে পারে। অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজ সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে বাংলাদেশ এবং অন্য
দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে ভারত সরকার। এ
কারণে গত চার দিন ধরে কোনো পেঁয়াজ রপ্তানি করেনি ভারত। হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, বুধবার দিল্লিতে আবারো বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও কোনো ফল
হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার ফল এসেছে। তাতে রপ্তানির অনুমতি মিলেছে বলে ভারতীয়
ব্যবসায়ীরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তবে আজ শুক্রবার পুরনো এলসির পিয়াজ
প্রবেশ করবে দেশে। তা না হলে পূজার কারণে আগামী ১১ অক্টোবর পর্যন্ত বন্দর
দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার কারণে ওই সময়ের মধ্যে আর পেঁয়াজের ট্রাক
আসার সম্ভাবনা নেই। হারুন উর রশীদ আরো বলেন, অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও দাম বৃদ্ধির ফলে গত রবিবার বিকেলে হঠাৎ করে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এ কারণে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে প্রায় দেড় হাজার টন পেঁয়াজ ভারতে আটকা পড়েছে। এর পর থেকেই পুরনো এলসির বিপরীতে পেঁয়াজ রপ্তানির বিষয়ে রপ্তানিকারকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। মঙ্গলবার দিল্লিতে দুই দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও এ বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি। এ কারণে সেদিন পেঁয়াজ রপ্তানি হয়নি। এদিকে, দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানোর ফলে ও হিলি স্থলবন্দরে আমদানিকারকদের ঘরে থাকা পেঁয়াজ বিক্রি করায় দাম কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের। আগে ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন তা কমে ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন মান খারাপ হওয়ার কারণে পেঁয়াজের দাম কমেছে। |