ই-পেপার মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০১৯ ৬ কার্তিক ১৪২৬
ই-পেপার মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০১৯

গলে যাবে হিন্দুকুশের হিমবাহ, রক্ষা পাবে না বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান
সময়ের আলো ডেস্ক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৪:৫৪ পিএম আপডেট: ২৬.০৯.২০১৯ ৭:১৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

গলে যাবে হিন্দুকুশের হিমবাহ, রক্ষা পাবে না বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান

গলে যাবে হিন্দুকুশের হিমবাহ, রক্ষা পাবে না বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান

আর হয়তো একশো বছর, কি তারও কম সময়ে। হিন্দুকুশ পর্বতমালার বেশির ভাগ হিমবাহই গলে যাবে। দেখা যাবে তুষারে মোড়া পর্বতশ্রেণি।

বুধবার প্রকাশিত গ্লোবাল ক্লাইমেট রিপোর্টে এমনটাই জানা যাচ্ছে। এশিয়া মহাদেশের মধ্য ও দক্ষিণের অনেকটা অংশ জুড়ে সুবিস্তৃত এই পর্বতমালা এভাবে গলে গেলে, একটা বড় অংশে জল-সরবরাহ প্রায় শূন্য হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা। কারণ বৃষ্টিচ্ছায় ওই অঞ্চলে বৃষ্টি হয় না। হিমবাহের পানিই একমাত্র ভরসা। সূত্র : দ্য ওয়াল

রিপোর্টে লেখা রয়েছে, এখনই ওই পর্বতমালার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে দেড় ডিগ্রি বেড়ে গিয়েছে। এই শতাব্দীর শেষে সেটা ২ ডিগ্রি বেড়ে যাবে। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে পরিস্থিতি। রিপোর্ট দেখার পরে ১৯০টি দেশের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঙ্কট নিকটে। বাঁচার কোনও রাস্তাই আর খোলা রইল না বলা যায়। এই রিপোর্ট কিন্তু মানুষের ঘুম উড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। হিন্দুকুশ পর্বতের বরফ গলে গেলে বঙ্গোপসাগর, আরব সাগরের পানির স্তরও বাড়বে।

সমুদ্রের পানি স্তরের এই বৃদ্ধি। ভারতের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ শহর সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় রয়েছে। কলকাতা, মুম্বাই, চেন্নাই, কোচি, সুরাট, বিশাখাপত্তনমের অবস্থা সবচেয়ে উদ্বেগজনক। উপকূলবর্তী এই শহরগুলো যে কোনও সময়ে বানভাসি হতে পারে। মুম্বাইয়ের অবস্থা যে সংকটজনক তা এবারের বর্ষাতেই বোঝা গিয়েছে। রিপোর্ট বলছে, সমুদ্রের পানির স্তর আর মাত্র ৫০ সেন্টিমিটার বাড়লেই ভারতের ২৮ কোটি মানুষ বানভাসি হবেন।

ওই রিপোর্ট বলছে, খুব বেশি হলে ২১০০ সাল। তার মধ্যেই হিন্দুকুশের ৬০ শতাংশ হিমবাহ গলে যাবে বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে। এবং এই পদ্ধতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। তিয়েনশান, কুনলুন, পামির, হিন্দুকুশ, কারাকোরাম, হিমালয়, গোটা টিবেটান মালভূমি এলাকা– এই সবটা জুড়ে বাস করেন ১২ কোটি মানুষ। খুব তাড়াতাড়ি সংকটের মুখে পড়তে চলেছেন তারা। এবং এই প্রভাব এসে পড়বে চীন, তিব্বত, নেপাল, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ভারতেও।




এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড-এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ।
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫। ই-মেইল : [email protected]