দিনাজপুরে পাট চাষ এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম
নিজস্ব প্রতিবেদক, দিনাজপুর
|
সোনালী আঁশ খ্যাত পাটের খ্যাতি আর ঐতিহ্য দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে দিনাজপুরে। ন্যায্য দাম পাওয়ার পরও পাট চাষে আগ্রহ নেই জেলার চাষীদের। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম পাট চাষ হয়েছে। এখন দিনাজপুরের মাঠে-ঘাটে পাট কর্তন, জাক দেয়া, ধোয়া আর উভানোর কাজ চলছে। দেখে বোঝা যায় না, দিনাজপুরে সোনালী আঁশ পাটের খ্যাতি আর ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. তৌহিদুল ইকবাল সময়ের আলোকে জানান, জেলায় চলতি মৌসূমে ৪ হাজার ১’শ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও পাট চাষ হয়েছে ৩ হাজার ৭’শ হেক্টর জমিতে। এবার ৪’শ হেক্টর জমিতে পাট চাষ কম হয়েছে। তিনি আরও জানান, দেশি জাতের পাটের মধ্যে রবি পাট-১, অ-৯৮ ও ৯৭ জাতের পাট চাষ এবার বেশি হয়েছে। তবে ভারতীয় কিছু জাতের পাট দিনাজপুরে চাষাবাদ হচ্ছে বলে তিনি জানান। এছাড়াও গুনগত মান বজায় রাখতে কৃষককে রিবোন রেডিং পদ্ধতিতে পাট পচানো শেখানো হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে পাটের দরপতন, উৎপাদন খরচ বেশি ও পাট ছাড়ানো পানির অভাবে কৃষক পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। ১ বিঘা জমিতে ৭ থেকে ৮ মণ পাট উৎপাদন হয়। আর প্রতি মণ পাট সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়। এ ক্ষেত্রে বাজারমূল্য হিসেবে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। |