থাইল্যান্ডের প্রায় ১০০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ‘রাজপত্নী’ খেতাব পাওয়া সিনিনাত ওংভাজিরাপাকডি স্ত্রীর মর্যাদা ও পদবি খুঁইয়েছেন।
‘রাজার সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও বিশ্বাসঘাতকতা’ করার অভিযোগে তাকে এ পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে। খবর বিবিসির।
থাইল্যান্ডের রাজপরিবারের এক বিবৃতিতে সিনিনাতকে ‘উচ্চাভিলাষী’ উল্লেখ করে বলা হয়েছে- তিনি ‘নিজেকে রানির সমমর্যাদায় উন্নীত করার’ চেষ্টা করেছিলেন।
এতে আরও বলা হয়, ‘রাজপত্নীর আচার-আচরণ ছিল অসম্মানজনক।’ এ ছাড়া সিনিনাত থাই রাজা ও রানির বিরুদ্ধাচারণ করছিলেন দাবি করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেই রাজার হয়ে নানা আদেশ দিতেন তিনি।
অবশ্য সিনিনাতকে যে ভাগ্যবরণ করতে হয়েছে, তা একেবারেই অভূতপূর্ব নয়। থাই রাজার আগের স্ত্রীদের বেলায়ও এমনটিই ঘটেছে বলে জানা যায়। ১৯৯৬ সালে দ্বিতীয় স্ত্রী এবং সে পক্ষের চার পুত্রকে পরিত্যাগ করেন থাই রাজা। ওই স্ত্রী এর পর যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান। থাই রাজা চতুর্থবারের মতো বিয়ে করলে রানি হন সুথিডা। এর দুই মাস পরেই গত জুলাইয়ে সিনিনাতকে রাজপত্নীর মর্যাদা দেন থাই রাজা।
থাইল্যান্ডের প্রায় ১০০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ‘রাজপত্নী’ খেতাব পান কোনো নারী। সিনিনাত ছিলেন একাধারে একজন প্রশিক্ষিত বিমানচালক, সেবিকা ও দেহরক্ষী এবং সেনাবাহিনীর মেজর-জেনারেল পদাধিকারী।
আর রানি সুথিডা ছিলেন থাই রাজার দীর্ঘদিনের সঙ্গী। রাজার পাশে সুথিডাকে অনেক বছর ধরে জনসম্মুখে দেখা গেছে। সাবেক বিমানবালা ৪১ বছর বয়সী সুথিডা ছিলেন থাই রাজা ভাজিরালংকর্নের দেহরক্ষী বাহিনীর উপপ্রধান।
থাইল্যান্ডের রাজকীয় গেজেটে গত সোমবার সিনিনাতকে পদবিচ্যুত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। থাই রাজার পাশে বেশ কয়েক বছর ধরে দেখা যাওয়ার পর ‘রাজপত্নী’ হিসেবে মর্যাদাসীন হন সিনিনাত। কিন্তু বেশি দিন সে মর্যাদা ধরে রাখতে পারলেন না সিনিনাত।
থাই রাজা সুথিডাকে বিয়ে করার পরও সিনিনাতকে রাজকীয় অনুষ্ঠানগুলোতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে দেখা যেত।