আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধারাবাহিক মাদকবিরোধী অভিযানের পর ঢাকার দোহার উপজেলার রাইপাড়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীপ্রসাদ, রাইপাড়া, ফুলতলা, পালামগঞ্জ, ইকরাশী, লটাখোলা বিলেরপাড় ও লটাখোলা বাঁশতলা এলাকায় শান্তভাব বিরাজ করছে। সাঁড়াশি অভিযানে মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা কমে গেছে। এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা রয়েছে আত্মগোপনে।
জানা গেছে, ১৫ দিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে একাধিক মাদক ব্যবসায়ী আটক হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে এলাকার খুচরা মাদক বিক্রেতারা। সম্প্রতি সাঁড়াশি অভিযানে রাইপাড়া আব্দুস সালামের ছেলে আকাশের বসতঘর থেকে ৯০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ঢাকা জেলার কর্মকর্তারা। এ ছাড়া চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আনোয়ার ওরফে আনুর স্ত্রীকে ইয়াবাসহ আটক করে অধিদফতর। পালামগঞ্জ কবরস্থানের সামনের সড়ক থেকে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী নাজমুলকে আটক করে দোহার থানা পুলিশ। রাইপাড়ার মো. সুজন ওরফে কাইল্লা সুজনকে লাটাখোলা করম আলীর মোড় থেকে ৫৭৫ পুরিয়া হেরোইনসহ আটক করে থানা পুলিশ। রাইপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ঝিন্টু বেপারির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও একটি হ্যান্ডকাপ উদ্ধার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। আটক করা হয় ঝিন্টুর স্ত্রী তাহমিনা আক্তারকে। এসব ঘটনার পর থেকে রাইপাড়ার মাদক ব্যবসায়ীরা নড়ে চড়ে বসেছে। প্রয়োজন ছাড়া মাদক ব্যবসায়ীরা ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। মোটরসাইকেলের আনাগোনাও নেই বললেই চলে।
এ বিষয়ে দোহার থানার ওসি মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সরকার মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। তারই অংশ হিসেবে আমাদের মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ঢাকা জেলার সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার শুভ বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগে মাদক ব্যবসায়ীদের যে তালিকা রয়েছে সেই তালিকা দেখে প্রত্যেকের বাড়িতে অভিযান চালানো হবে।