ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়নস্থ চন্দনা নদীর শাখার অনেকাংশ দখল করে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। নদী দখল হয়ে যাওয়ায় এলাকার মানুষের পানি নিষ্কাশন, কৃষি ক্ষেত্রে সেচ ব্যবস্থায় বাধাগ্রস্তসহ নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানান, মধুখালীর কামারখালী দিয়ে প্রবাহিত গড়াই নদী থেকে সৃষ্ট শাখা নদী চন্দনা বয়ে গেছে আড় পাড়া, উজানদিয়া, বাগবাড়ী, কাটাখালী, চর বাঁশপুর ও বাগাট বাজারের পাশ দিয়ে।
রাজবাড়ী জেলার কালুখালী থেকে মূল পদ্মা নদী থেকে প্রবাহিত হয়ে গড়াই হয়ে তৈরি হয় চন্দনা নদী।
এই নদীর ধারা কামারখালী ও আড়কান্দি অংশে নাব্য হারিয়ে কয়েকটি স্থানে জলাশয় সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার স্বার্থান্বেষী প্রভাবশালী কিছু লোক উজানদিয়া, বাগবাড়ী, কাটাখালী, চর বাঁশপুর ও বাগাট এলাকার বিভিন্ন অংশে নদী দখল করে নিয়েছে।
নামে বেনামে ইজারা নিয়েও বিভিন্ন স্থানে পুকুর খনন, বাঁধ নির্মাণ, পাকা ঘরবাড়ি, বাণিজ্য কেন্দ্র নির্মাণসহ নানাভাবে নদীর অংশ দখল করেছে তারা। এলাকাবাসী আরও জানান, চন্দনা নদীর আপন প্রাকৃতিক ধারা অব্যাহত থাকলে দৈনন্দিন পানির প্রয়োজন ও কৃষি সেচ ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
এই নদী দখলমুক্ত করে খননের মাধ্যমে স্বাভাবিক ধারা ফিরিয়ে আনতে পারলে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মানুষ উপকার পাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মধুখালী উপজেলার বাগাট মৌজার ১নং শিটের এসএ (জলা) ১৮৪৩নং দাগের প্রায় ২৫ একর জমি বিভিন্ন দখলে রয়েছে। এলাকার মতিয়ার রহমান খান, বাকা খান, মো. লাল খান, মো. কুদ্দুস খান, সাম খানসহ বিভিন্নজন কৌশলে এই জমি দখল করে রেখেছে।
এ বিষয়ে নবগঠিত কোরকদি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুকুল হোসেন রিক্ত বলেন, আমার ইউনিয়নের ৬-৭টি গ্রাম চন্দনা নদীর তীরে অবস্থিত। তারা দীর্ঘদিন ধরে পাট পচানোসহ কৃষি সেচ ও দৈনন্দিন পানি সমস্যার ভোগান্তিতে রয়েছেন। নদীর মধ্যে এলাকার মশিউর হোসেন বাকা ও লাল খানসহ কয়েক ব্যক্তি ৫ তলা ফাউন্ডেশন করে ভবন করছে।
আমার নিষেধ না শোনায় ইউএনও মহোদয়কে বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু ফল পাওয়া যায়নি। বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে লিখিতভাবে জানাব।