উন্নতির ছিটেফোঁটাও দেখা গেল না দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে। প্রোটিয়ারা যথারীতি ধুঁকছে রাঁচি টেস্টেও। যে উইকেটে রোহিত শর্মার প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি এবং আজিঙ্কা রাহানের শতকে রানপাহাড়ে চেপেছে ভারত, সেই উইকেটে শুরুতেই ধস দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপে। প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের ৪৯৭ রানের জবাব দিতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৯ রান! এ যেন ঠিক বিশাখাপত্তম আর পুনের
টেস্টের পুনরাবৃত্তি।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেও দ্বিতীয় দিনেই চালকের আসনে চেপে বসেছিল ভারত। তৃতীয় এবং টেস্টেও ঘটনি এর ব্যত্যয়। এই কৃতিত্বের সিংহভাগই রোহিত শর্মার। ভারতীয় ওপেনারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির (টেস্টে) সুবাদেই দাপুটে অবস্থানে স্বাগতিকরা। রোহিত নিজেও নাম লিখিয়েছেন এলিট লিস্টে। ওয়ানডে এবং টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো চতুর্থ ক্রিকেটার তিনি। অপর তিনজন হলেনÑ শচিন টেন্ডুলকার, বিরেন্দর শেবাগ এবং ক্রিস গেইল।
অবশ্য অবদান কম ছিল না প্রথম দিনে রোহিতকে দারুণ সঙ্গ দেওয়া রাহানেরও। যদিও রোববার দিনের প্রথম সেশনেই সাজঘরে ফেরেন তিনি, তবে তার আগে মাতেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরির উদযাপনে। ফেরেন ব্যক্তিগত ১১৫ এবং দলীয় ৩০৬ রানে। তাকে ফিরিয়ে রোহিত-রাহানের ২৬৭ রানের জুটি ভাঙেন প্রোটিয়া অফস্পিনার জর্জ লিন্ডের। যা কিনা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চতুর্থ উইকেটে সবচেয়ে বড় জুটি ভারতের।
রাহানে ফিরলেও ভারতের লাগাম টেনে ধরতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকার। উল্টো দ্বিতীয় সেশনের শুরু থেকেই টি-টোয়েন্টি স্টাইলে ব্যাট চালায় স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। এতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও রানপাহাড় চড়তে সমস্যা হয়নি বিরাট কোহলিদের। প্রমাণ স্পষ্ট রোহিতের স্ট্রাইক রেটে। কাগিসো রাবাদার শিকার হওয়া ভারতীয় এই ওপেনারের ২১২ রানের ইনিংসের স্ট্রাইক রেট ছিল ৮৩. ১৩। ২৫৫ বলে ২৮ চার এবং ৬ ছয়ে নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি।
তবে উমেশ যাদবের ব্যাটিং স্টাইল ছিল ভড়কে দেওয়ার মতো। ভারতীয় এই পেসার ১০ বল খেলে ৫ ছয়ে করেছেন ৩১! মারমুখী ছিলেন রবিচন্দ্রন অশি^নও (১৬ বলে ১৪)। কিন্তু ধারার বিপরীতে ছিলেন রবিন্দ্র জাদেজা এবং ঋদ্ধিমান সাহা। ধীর গতির ব্যাটিংয়ে দুজনে আউট হন যথাক্রমে ৫১ ও ২৪ করে। পরে শাহবাজ নাদিম (১) এবং মোহাম্মদ শামির (১০) ব্যাটে ভর করে ৯ উইকেটে ৪৯৭ রানের সংগ্রহ নিয়ে দ্বিতীয় সেশন করে রবি শাস্ত্রীর দল।
বৃষ্টিবিঘ্নিত তৃতীয় সেশনে আর ব্যাটিংয়ে নামেনি ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার শুরু করে নিজেদের প্রথম ইনিংস। আলোক সল্পতার কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার আগেই হারায় দুই ওপেনার ডিন এলগার আর কুইন্টন ডি কককে। ইনিংসে প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই শূন্য রানে এলগারকে ফেরান শামি এবং ৪ রান করা ডি কককে যাদব। দুজনেই মাঠ ছাড়েন উইকেটকিপার সাহাকে ক্যাচ দিয়ে। জুবায়ের হামজা (০) এবং অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসের (১) ব্যাটে আজ
তৃতীয় দিন শুরু করবে প্রোটিয়ারা।