জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল হবে বিশ্বমানের : অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা
পরিচালক, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
হিরা তালুকদার
|
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল শিগগিরই একটি বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানে উন্নীত হবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা। দৈনিক সময়ের আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সর্বাধুনিক চিকিৎসা উপকরণ, দক্ষ চিকিৎসক ও উন্নত চিকিৎসাসেবাই প্রতিষ্ঠানটিকে দেশে এবং বিদেশে পরিচিত করে তুলছে। জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফার মেয়াদ সম্প্রতি আরও দু’বছর বাড়িয়েছে সরকার। তার ওপরে রাষ্ট্রের এই আস্থার প্রতিদান তিনি দিতে চান রোগীদের সেবা করে। রোগী ও রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ডাক্তার ও স্টাফদের দুর্ব্যবহারের অভিযোগের বিষয়ে ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, আমাদের কিছু নার্স ও গার্ড রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বলে অভিযোগ আমি আগেই পেয়েছি। এ বিষয়ে আমি প্রত্যেককে সতর্ক করে দিয়েছি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেব। তবে কিছু ক্ষেত্রে রোগীরাও অনেক বেশি তাড়াহুড়ো করে। তাদেরও ধৈর্য ধরে চিকিৎসা নিতে হবে। আমরা প্রত্যেককে সর্বোচ্চ সেবা দেব। আমি ডাক্তারদের বলেছি, রোগী কটু কথা বললেও রোগীকে কটু কথা শোনানো যাবে না। তিনি জানান, নতুন ভবনে স্থানান্তরের পর শয্যাসংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে এখানে ২৫০ বেড রয়েছে। তাৎক্ষণিক চোখের চিকিৎসায় চালু করা হয়েছে জরুরি বিভাগ। এখানে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বহির্বিভাগে রোগী দেখা হয়। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে ডাক্তার দেখানোর জন্য ১০ টাকা দিয়ে একটি টিকেট সংগ্রহ করতে হয়। দরিদ্র রোগীর জন্য সবকিছু ফ্রি। সরকারি হাসপাতাল হওয়ায় এখানে বিভিন্ন ধরনের টেস্টের জন্য ফি দিতে হয় না। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে আলাদা নয়টি বিভাগ। এগুলো হচ্ছে ক্যাটার্যাক্ট, কর্নিয়া, গ্লুকোমা, রেটিনা, অকুলোপ্লাস্টিক, পেডিয়াট্রিক অপথোর্মোলজি, নিউরো অপথোর্মোলজি, কমিউনিটি অপথোর্মোলজি ও লো-ভিশন। রয়েছে ১৪টি আধুনিক অপারেশন থিয়েটার। দক্ষ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ আছে। দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, আমাদের হাসপাতালে কোনো ডাক্তার বা কোনো স্টাফকে দুর্নীতি করার সুযোগ দেব না। কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পেলে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে। সে যে-ই হোক না কেন। এই হাসপাতালের মালিক জনগণ। আর জনগণকে সেবা দেব আমরা। |