তৈরি পোশাক শিল্পের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে চাই: রুবানা হক
নবনির্বাচিত সভাপতি, বিজিএমইএ
এসএম আলমগীর
প্রকাশ: রোববার, ১২ মে, ২০১৯, ৫:২৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রথম নারী সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক। দায়িত্ব নিয়েই পোশাক শিল্পের কল্যাণে নিজেকে সঁপে দিয়েছেন তিনি। তার প্রতিদিনের কর্মকান্ড এখন বিজিএমইএ ও পোশাক শিল্পকে কেন্দ্র করেই। নতুন দায়িত্ব, নতুন চ্যালেঞ্জ এবং এই শিল্পের নানাদিক নিয়ে রুবানা হক কথা বলেছেন সময়ের আলোর সঙ্গে। সামনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট। এ প্রসঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন। তার সাক্ষাৎকারের বিশেষ অংশ নিচে দেওয়া হলো। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এসএম আলমগীর।
বিজিএমইএ’র প্রথম নারী সভাপতি হিসেবে ভিশন কী বা কাজের ধরন কেমন হবে এ প্রশ্নের জবাবে রুবানা হক বলেন, আমার প্রথম কাজ হবে তৈরি পোশাক শিল্পের ইমেজের বা ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনা। ক্রেতাদের সঙ্গে পোশাকের ন্যায্যমূল্য আদায়ে নেগোসিয়েশন করা, শ্রমিকের মজুরি এবং দক্ষতার জায়গায় সমন্বয় করা, একই সঙ্গে নতুন মার্কেট এবং চলমান মার্কেটে আমরা আরও কীভাবে ভালো করতে পারি, একই সঙ্গে আমাদের সাস্টেইনেবিলিটির যে ইস্যু রয়েছে সেগুলো নিয়ে কাজ করা। তা ছাড়া শিল্পে সংস্কার কাজ অন্যদের দিয়ে না করিয়ে আমরা নিজেরা করতে পারি কি নাÑ এসব নিয়েও আমি কাজ করব।
বিজিএমইএ’র কর্মপরিধি বা কর্মপদ্ধতিতে কোনো পরিবর্তন আনবেন কি না এ প্রশ্নের জবাবে রুবানা হক বলেন, বিজিএমইএকে আমি আরও দক্ষ করতে চাই, স্বচ্ছতা আনতে চাই, কিছুটা করপোরেট স্টাইলে কাজ করতে চাই যেভাবে চলছে সেভাবে কাজ করতে চাই না। বিজিএমইএতে বসে বসে ইউডি সাইন করা মানায় না, এটা আমাদের কাজও নয়। আমাদের হলো ভিশন সেটিং জব, আমাদের কাজ হলো কীভাবে এই সেক্টরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে সেটা নিয়ে কাজ করা। ইউডি সাইন করতেই তিনজন ডাইরেক্টর লাগে বিজিএমইএতে এটা তো হলো না। এগুলো আমরা বদলাব।
বর্তমানে তৈরি পোশাক শিল্পে যে নানামুখী সংকট রয়েছে সেগুলো বিজিএমইএ’র নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আপনি কীভাবে মোকাবেলা করছেন, এ প্রশ্নের জবাবে রুবানা হক বলেন, এখন আমার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ আসন্ন ঈদে সব পোশাক কারখানার বেতন-ভাতা ঠিকমতো দেওয়ার বিষয়টি। বড় এবং কমপ্লায়েন্স কারখানাগুলোতে হয়তো তেমন কোনো সমস্যা হবে না, তবে ছোট ও মাঝারি কারখানাগুলোতে ঈদের আগে বেতন দেওয়া নিয়ে সমস্যা হতে পারে। আসলেই এসব কারখানা মালিকরা সমস্যায় রয়েছে, মজুরি দেওয়ার অবস্থায় তারা নেই। এসব মালিককে আমরা বলব, ভাই অযথা শ্রমিকদের কষ্ট না দিয়ে এক্সিটের রাস্তা খোঁজেন। যারা অনিচ্ছাকৃতভাবে সিক হয়েছে, হয়তো বিশেষ কোনো কারণে সংকটে রয়েছেÑ আমরা তাদের পাশে দাঁড়াব। তাদের জন্য যত ধরনের নেগোসিয়েশন করা দরকার আমরা করব, ব্যাংকের কাছে হাত পাতব সবই করব তাদের জন্য। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাংক ডিফল্ডার হলে আমরা তাদের জন্য কোনো উদ্যোগ নেব না। তাদের জন্য আমরা আর দুর্নাম নেব না। এসব মালিকের জন্য অন্য দশটা কারখানা মালিকের বদনাম হোক এটা আমরা চাই না। এসব কারখানা হয়তো আমরা বন্ধ করে দেব।
এর বাইরেও অনেক চ্যালেঞ্জ আছে তৈরি পোশাক শিল্পের সামনে। যেমন সামনে বাজেট। বাজেটে আমাদের চাওয়া আর পাওয়ার মধ্যে কত ফারাক থাকবে এ চিন্তায় আছি। তা ছাড়া বিজিএমইএকে আরও গতিশীল করার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ লক্ষ্যে আমি মনে করি বিজিএমইএতে একটি উপদেষ্টা কাউন্সিল থাকা দরকার। এতে অর্থনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকাদের নিয়ে এই কাউন্সিল হতে পারে। ইতোমধ্যেই আমরা এ বিষয়ে কথাবার্তা শুরু করে দিয়েছি। ইতোমধ্যে চারজন অর্থনীতিবিদের সঙ্গে কথা বলে ফেলেছি। আমরা তাদের এই কাউন্সিলে রাখব।
আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জের মধ্যে আরও আছে আমাদের পোশাক শিল্পের মার্কেটগুলোকে ধরে রাখা। মার্কেট থেকে শুরু করে, দরকষাকষি থেকে শুরু করেÑ সব জাগাতেই চ্যালেঞ্জ। আমরা কোনোমতে বেঁচে থাকার চেষ্টা করব। একই সঙ্গে চেষ্টা করছি আমাদের যে ভাবমূর্তি চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেটাও সমুন্নত রাখা। এজন্য আমরা সাংবাদিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বসছি, তাদেরকে আমরা জানাচ্ছি আমাদের কথাগুলো। আসলেই কিন্তু আমরা বিপাকে আছি। তা ছাড়া চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে কিন্তু আমাদের দেশে রফতানি আদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশি আসবে। কিন্তু এ সুযোগটি আমরা কীভাবে নেব সেটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে আমরা এখন একটু টালমাটাল অবস্থার মধ্যে আছি। কিন্তু এখন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছি আগামী ঈদের বেতন-বোনাস দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে। এটা আমাদের জন্য এখন বিরাট চ্যালেঞ্জ। তবে যাতে সংকট কাটিয়ে ওঠা যায় তার জন্য এখন থেকেই আমরা কাজ শুরু করেছি। প্রতিদিনই এ বিষয়ে শিল্পমালিকদের সঙ্গে কথা বলছি, কার কী ধরনের সমস্যা সেগুলো নিয়ে কথা বলছি। জোনভিত্তিক বৈঠক করছি, শিল্পমালিকদের বিজিএমইএ অফিসে ডাকছি, তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, বিজিএমইএ এখন এমন একটি নির্মাণাধীন অফিসে কাজ করতে হচ্ছে। কয়েকদিন আগে নির্মাণাধীন বিজিএমইএ ভবনের ছয়তলা থেকে একটি রড পড়েছে। যদি এটি কারও মাথায় পড়ত তাহলে কত বড় দুর্ঘটনা ঘটত। সুতরাং এখন কোন সময় কী দুর্ঘটনা ঘটেÑ এটা নিয়ে সবসময় আতঙ্কে থাকি। তা ছাড়া আস্তে আস্তে সবকিছু ঠিক করা যায় কি না, আরও কীভাবে স্বচ্ছতা আনা যায় এসব নিয়ে এখন কাজ করছি।
বাজেট প্রসঙ্গ এবারের বাজেটে আমরা কেবল নতুন বাজারের জন্য নয়, সব বাজারের জন্য প্রণোদনা দাবি করেছি। আমরা এবার তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য আপদকালীন ফান্ড চেয়েছি সরকারের কাছে। কারণ মজুরি বৃদ্ধির পর থেকে ছোট ছোট কারখানাগুলো এত সাফার করছে যে তাদের জন্য একটি এক্সিট পথ করে দিতে হবে। আমরা এবারের বাজেট প্রস্তাবনায় ইনসেনটিভটা আরও সহজীকরণের কথা বলেছি। নতুন বাজারে আমরা ৪ শতাংশ প্রণোদনা পাই, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে তো আমরা কোনো ইনসেনটিভ পাই না। নতুন বাজারে যেটা ইনসেনটিভ পাই তা খুবই কম। এ কারণে আমরা সব বাজারেই ইনসেনটিভের দাবি জানিয়েছি। আমরা রফতানিকারকরা যেন ইনসেনটিভটা পাই।
আমরা একটা আপদকালীন ফান্ড চেয়েছি, সে আপদকালীন ফান্ডটা জানি না কতটা কী করবেন না করবেন বুঝতে পারছি না। কারণ আমাদের অনেক ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেটার জন্য আমাদের ফান্ড দরকার এবং তাদের জন্য এক্সিট প্ল্যান দরকার। তা ছাড়া এবারের বাজেটে উৎসে কর অপরিবর্তিত রাখার কথা বলেছি।
আসন্ন বাজেটে রফতানি সংশ্লিষ্ট স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত সব পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে ভ্যাট মওকুফসহ রিটার্ন দাখিল করা হতে অব্যাহতি প্রদান করার দাবি জানিয়েছি। রফতানিকে আরও প্রতিযোগী করে তোলার জন্য স্থানীয় বাজার থেকে সংগৃহীত সব পণ্য ও সেবাগুলোকে ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা আবশ্যক। এ ছাড়াও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাধারণ আদেশে উল্লিখিত সেবাগুলোকে রফতানির ক্ষেত্রে ভ্যাটমুক্ত রাখা এবং রিটার্ন দাখিল করা থেকে অব্যাহতি প্রদান করা দরকার। আগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সেবাগুলোর ক্ষেত্রে বকেয়া ভ্যাট দাবি না করা দরকার। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির ওপর প্রদত্ত মূসক প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে জটিলতা দূরীকরণের লক্ষ্যে ১০০ ভাগ মূসক অব্যাহতি প্রদান করা দরকার।
রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য রফতানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর ০.২৫ শতাংশের পরিবর্তে শূন্য করা এবং তা আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর রাখা। রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের ক্ষেত্রে রফতানি মূল্যের বিপরীতে উৎসে কর কর্তনকে চূড়ান্ত কর দায় হিসাবে গণ্য করা। রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য করপোরেট ট্যাক্স হার ১২ শতাংশ থেকে হ্রাস করে আগের মতো ১০ শতাংশ করা।
রফতানিমুখী তৈরি পোশাক প্র্রতিষ্ঠান থেকে প্রযোজ্য হারে আয়কর কর্তনের পর প্র্রাপ্ত নগদ লভ্যাংশের অর্থ উদ্যোক্তা কর্তৃক কোনো নতুন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করলে সেই পরিমাণ অর্থের ওপর ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় পুনরায় দ্বিতীয়বার কর কর্তন হতে অব্যাহতি প্রদান করা দরকার। এ ছাড়াও এবারের বাজেটে আমাদের আরও কিছু প্রস্তাবনা রয়েছে।
শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গ তৈরি পোশাক শিল্পের অবস্থা বর্তমানে খুব একটা ভালো নয়। নানা সংকটের কারণে প্রতিদিন বন্ধ হচ্ছে গার্মেন্ট কারখানা। মাত্র ক’দিন হলো বিজিএমইএ’র সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছিÑ কিন্তু এ সময়ের মধ্যেই ৩০টি কারখানা বন্ধ করতে হয়েছে। কারখানা বন্ধ হওয়ার প্রধান কারণ মিনিমাম ওয়েজ বাড়ার পর এসব কারখানা মালিক বেতন দিতে পারছে না। কারখানার শ্রমিকদের যেমন বেতন বেড়েছে, তেমনি উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে ৩০ শতাংশ। শুধু এসব কারখানা নয়, সবার কষ্ট হচ্ছে বেতন দিতে। ইন্ট্রাফ্যাক্সের মতো একটি কমপ্লায়েন্স কারখানা বন্ধ করতে হয়েছে। এত বড় কারখানার মালিক এখন বেতন দিতে পারছেন না।
আমরা জানি না এ পরিস্থিতিতে আমরা কী করব। সামনে ঈদ রয়েছে, সব কারখানায় বেতন দেওয়া নিয়ে একটা দুশ্চিন্তা রয়েছে। অন্ততপক্ষে আসন্ন ঈদে ১৩০ থেকে ১৪০টি কারখানা মালিক বেতন-ভাতা দিতে পারবেন না। ব্যয় সঙ্কুলান না করার কারণে অনেক কারখানা মালিক শ্রমিক ছাঁটাইও করছে। ছাঁটাই করতে গিয়েও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মালিকদের। কারণ ছাঁটাই করতে গেলে শ্রমিকদের পাওনা দিয়ে দিতে হচ্ছেÑ সেটাও অনেকে দিতে পারছে না। কমপেনসেশন দেওয়ার মতো টাকাও তো এখন অনেক কারখানা মালিকের কাছে নেই। খুব চিন্তায় আছি, এবারের ঈদে শ্রমিকদের ঠিকমতো বেতন-ভাতা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে। গার্মেন্ট শিল্পের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এখন রাত ২টা পর্যন্ত এক মুহূর্ত বসতে পারি না, নানা জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করতে হচ্ছে। তৈরি পোশাক শিল্পের আসল হিরো কিন্তু আমাদের শ্রমিকরা। আমি মনে করি শ্রমিকরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যে কাজটা করে প্রথমত এটা একঘেয়ে কাজ। কিন্তু আমার মনে হয় শ্রমিকরাও কেন স্বপ্ন দেখবে না। এই জায়গাটা আমাকে ভাবায় এবং বিজিএমইএ’র নারী সভাপতি হিসাবে শ্রমিকদের বিষয়ে আমাকে খুবই যত্নবান হতে হবে। আমি মনে করি মালিক-শ্রমিক সম্পর্কটা আরও সুন্দর হওয়া দরকার। শ্রমিকরা খুব বেশি কিছু চায় না, তবে শ্রমিককে উসকে দেওয়া কিন্তু খুব সহজ।
তৈরি পোশাক খাতে খারাপ কাজ হয় বলে বেশি প্রচার করা হয়। আসলে তা কিন্তু নয়। এ খাতে অনেক ভালো কাজ হয়। বিজিএমইএতে আমি ভালো কাজগুলো প্রচারের জন্য একটি সেল করে দেব, যাতে ভালো কাজগুলোর প্রচার বেশি হয়। যে দেশে সবচেয়ে বেশি কমপ্লায়েন্স কারখানা রয়েছে, যে দেশে সবচেয়ে বেশি গ্রিন ফ্যাক্টরি রয়েছে, যে দেশে নারীর ভাগ্য বদলে দিয়েছে এই শিল্পÑ সে দেশে কেন আমরা ভালো গল্পটা বলব না।
আমি মনে করি গার্মেন্ট শিল্পে সেলফ মনিটরিংয়ের সময় এখন। অ্যাকর্ডেও সব ইঞ্জিনিয়ার কিন্তু বাংলাদেশের। এই দেশি ছেলেমেয়েগুলোকে আমরা টানতে পারলাম না কেন। আসলে আমরা খোলামেলা মন নিয়ে কখনও কাজ করি না। সবসময় আমাদের বনের বাঘে খায় না, মনের বাঘে খায়। আমরা যদি ওই ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে নিতে পারতাম তাহলে কিন্তু একটা কাউন্টার অর্গানাইজেশন দাঁড় করানো সম্ভব ছিল।
এবারের নির্বাচনে আমাদের যে প্যানেল ছিল তাতে যেমন অনেক ভালো সিনিয়র শিল্পমালিক ছিলেন, তেমনি অল্প বয়সী তরুণ উদ্যোক্তাও রয়েছেন। আমার প্যানেলের প্রত্যেকেই কিন্তু একবাক্যে আমাকে প্যানেল লিডার মেনেছেন। সুতরাং আমি যদি এটি পুশ করতে পারি যে, সেলফ মনিটরিং জোরদার করতে হবে তাহলে কিন্তু সবার সাড়া পাব। এ বিষয়ে আমি একটি প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সে প্রস্তাবে কিন্তু সবকিছুই আছে। আমরা অন্যের প্রেসক্রিপশন শুনতে রাজি না, আমরা চাই নিজেদের মতো করে সংস্কার কাজ এগিয়ে নিতে। আসলে আমাদের সম্মানের জায়গা প্রটেক্ট করা উচিত। ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পোশাকের ন্যায্যমূল্য আদায়ে নেগোসিয়েশনের জন্য বিজিএমইএতে একটি সেল করে দেওয়া উচিত। এ বিষয়েও আমি কাজ করব।