বায়তুস সালাম জামে মসজিদ। দিনাজপুর শহরের সন্নিকটে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন ৫নং শশরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডস্থ খোদ মাধবপুর গ্রামে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৫ সালে। গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষের টাকায় মসজিদটি প্রথমে বাঁশ ও টিন দিয়ে নির্মিত হয়। গ্রামের কৃষক মৃত তজির উদ্দিন আহম্মেদের সন্তানদের দানকৃত সাড়ে ৩ শতক জায়গায় নির্মাণ করা হয় মসজিদটি। প্রায় অর্ধ শতাধিক পরিবারের নামাজ আদায়ের পাশাপাশি সন্তানদের দ্বীনি শিক্ষা দেওয়া হতো এই বায়তুস সালাম জামে মসজিদে। কিন্তু কৃষক ও শ্রমিক পেশায় নিয়োজিত গ্রামের বাসিন্দারা নিয়মিত ইমামের বেতন দিতে না পারায় দ্বীনি শিক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। এই দ্বীনি শিক্ষা কার্যক্রম প্রায় ১১ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা কৃষক লুৎফর রহমান।
সরেজমিন দেখা গেছে, প্রায় ১৪ বছর পুরনো মসজিদটি জরাজীর্ণ অবস্থায় সংস্কারের প্রহর গুনছে। পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকে সার্বক্ষণিক পানির সঙ্গে মিশে থাকতে দেখা গেছে মসজিদটিকে। আধাপাকা বাঁশ ও টিনের চালায় নির্মিত অবকাঠামোর বেশ কিছু জায়গায় ফুটো সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই টিনের চালা দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে নামাজরত অবস্থায় মুসুল্লির শরীরে। এতে অনেক কষ্টে নামাজ পড়তে হচ্ছে বলে জানান মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. শফিকুল ইসলাম। গ্রামবাসীর সহযোগিতায় আল্লাহর রহমতে কোনোরকম পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় হচ্ছে বলে তিনি জানান।
গ্রামের কৃষক শাহিনুর ইসলাম, রাজমিস্ত্রি আমিনুল ইসলাম, ট্রাক্টর শ্রমিক আরিফুজ্জামান আরিফসহ স্থানীয় কয়েকজন মুসুল্লি সময়ের আলোকে বলেন, নিজেরাই আমরা টাকা দিয়ে মসজিদটি নির্মাণ করলেও পরবর্তীতে সংসারে টানাপড়েনের কারণে ইমামের বেতন ঠিকমতো দিতে পারছি না। এতে সন্তানদের দ্বীনী আলেম শিক্ষায় ভাটা পড়েছে। বিত্তশালী কারও সহযোগিতা পেলে মসজিদের মেরামত করা গেলে বৃষ্টিতে আর নামাজ পড়তে সমস্যা হতো না। আর ইমামের বেতনের নিশ্চয়তা পেলে সন্তানরা আবারও দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারত বলে তারা জানান।
মসজিদ কমিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল করিম সময়ের আলোকে জানান, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের এই মসজিদ কোনো সরকারি সহায়তার আওতায় আসেনি। বেসরকারি সংস্থাগুলোও এগিয়ে আসেনি বলে জানান তিনি।’